৫টি উপায়: কিভাবে উপনিষদ অনুযায়ী অন্তরের শান্তি খুঁজে পাবে 

বন্ধু, তোমারও কি মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু? দুশ্চিন্তা, হতাশা, সোশ্যাল মিডিয়ার ফেক লাইফ দেখে বিষণ্ণতা, এসব তো যেন আমাদের নিত্যসঙ্গী! অথচ, হাজার বছর আগেই উপনিষদে এর সমাধান দিয়ে গেছেন ঋষিরা। ভাবতেই অবাক লাগছে, তাই না?

আচ্ছা, তাহলে চল, একটু time travel করি! দেখে নিই, কীভাবে উপনিষদের জ্ঞান ব্যবহার করে তুমি তোমার অন্তরের শান্তি খুঁজে পেতে পারো, এবং সেটা কোনো কঠিন সাধনা ছাড়াই!

১. নিজের মনকে বশে আনতে শেখো (নাহলে মনই তোমাকে বশ করবে!)

উপনিষদ বলে: “যে ব্যক্তি নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে-ই প্রকৃত বিজয়ী।” (কঠ উপনিষদ)

মনে করো, তুমি এক বিশাল সমুদ্রের মতো, আর তোমার চিন্তাগুলো সেই উত্তাল ঢেউ। যদি ঢেউগুলোকে একটু সামলে না রাখো, তাহলে তো পুরো সমুদ্রটাই বিশৃঙ্খল! তাই mindfulness, মেডিটেশন, কিংবা অন্তত দিনের কিছুটা সময় নিজের চিন্তার ওপর নজর দাও। নিজেকে জিজ্ঞেস করো, এই চিন্তাটা কি সত্যিই দরকারি, নাকি এটা শুধু আমার মনের খেলা?

২. বাহ্যিক validation-এর পেছনে না ছুটে নিজের মূল্য নিজেই নির্ধারণ করো

আজকাল Instagram likes আর Snapchat streaks যেন আমাদের আত্মবিশ্বাসের মাপকাঠি হয়ে গেছে! কিন্তু উপনিষদ কী বলে জানো?
“যে ব্যক্তি নিজের অন্তরে নিজের অস্তিত্বের আনন্দ খুঁজে পায়, সে-ই প্রকৃত সুখী।” (মুন্ডক উপনিষদ)

তাহলে আর অন্যের অ্যাপ্রুভালের জন্য হাহাকার করার দরকার কী? আত্মবিশ্বাস গড়তে হলে বাহ্যিক validation-এর চেয়ে নিজের মূল্যবোধ তৈরি করো।

৩. প্রত্যাশার বোঝা কমাও, সবাই তোমার মতো চিন্তা করবে না!

একজন বন্ধুকে সারাদিন চ্যাট করো, কিন্তু সে seen করেও রিপ্লাই দিলো না? মন খারাপ? কিন্তু উপনিষদ বলে,
“কর্ম করো, কিন্তু ফলের প্রত্যাশা কোরো না।” (ভগবদ গীতা, যা মূলত উপনিষদের সারসংক্ষেপ)

অন্যরা কী করবে, কী ভাববে, সেটা তোমার হাতে নেই। তুমি তোমার কাজ করো, কিন্তু প্রত্যাশার ভার একটু কমাও। দেখবে, জীবন অনেক হালকা লাগবে!

৪. নিজের ভেতরের আলো জ্বালাও (এবং সেটা অন্যের আলো দেখে নিভিও না!)

“বাইরের আলোতে নয়, নিজের ভেতরের আলোর সন্ধান করো।” (ছান্দোগ্য উপনিষদ)

কেউ তোমার চেয়ে ভালো গান গায়? কেউ তোমার চেয়ে স্টাইলিশ? ভালো কথা, তাই বলে নিজেকে ছোট ভাবছো কেন? নিজের প্রতিভা খুঁজে বের করো, সেটাই তোমার আলো! অন্যের আলো দেখে নিজের আলো নিভিয়ে ফেলো না।

৫. বর্তমান মুহূর্তে বাঁচো (না হলে জীবনটা কেবলই ভবিষ্যতের চিন্তায় কেটে যাবে!)

“যে ব্যক্তি বর্তমান মুহূর্তে থাকে, সেই প্রকৃত শান্তি পায়।” (ঐশ্বর্য উপনিষদ)

দেখো, আমরা কেবল ‘আগামীকাল’ বা ‘অতীতের ভুল’ নিয়ে বাঁচি, কিন্তু আজকের মুহূর্তকে উপভোগ করি না। ফোনটা নামিয়ে একটু প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখো, একটু গভীর শ্বাস নাও, একটু মজা করো, এটাই শান্তির আসল চাবিকাঠি!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top