৬টি উপায় কিভাবে উপনিষদ অনুযায়ী ভালো অভ্যাস তৈরি করবে

বাজি রাখি, তুমি অন্তত একবার ভেবেছো, “এইবার থেকে আমি রেগুলার পড়াশোনা করবো!” বা “সকালে উঠে মেডিটেশন শুরু করবো!” কিন্তু দুইদিন পরেই সেই ‘মোটিভেশন’ উধাও! 

কেন? কারণ অভ্যাস তৈরি করা সহজ নয়, বিশেষ করে যখন Netflix, Instagram আর অলসতা তোমার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আছে!  কিন্তু চিন্তা নেই, প্রাচীন উপনিষদের জ্ঞান তোমাকে শক্তি দিতে প্রস্তুত! 

আসো, দেখে নেওয়া যাক ৬টি প্রমাণিত উপায় যেগুলো উপনিষদের জ্ঞান ব্যবহার করে তোমার জীবন বদলে দিতে পারে! 

১. “ব্রহ্মচার্য” – নিজের লক্ষ্য ঠিক করো (Burning Desire)

 কী বলে উপনিষদ?
ব্রহ্মচার্য মানে শুধু ব্রাহ্মণদের মতো জীবন না!  এটি আসলে আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং একটি স্পষ্ট লক্ষ্য স্থির করা!

 করণীয়:

  • নিজেকে জিজ্ঞেস করো, তোমার আসল লক্ষ্য কী? (নকল ‘গোলস’ বাদ দাও!)
  • ডায়েরিতে লিখে ফেলো, যে অভ্যাস তুমি গড়তে চাও এবং কেন?
  • প্রতিদিন সকালে একবার লক্ষ্য মনে করিয়ে দাও, মনে রাখো, ফোকাসই আসল সুপারপাওয়ার! 

২. “সহস্রার চক্র” – আগে নিজের চিন্তাগুলো পরিষ্কার করো 

 কী বলে উপনিষদ?
আমাদের মন একদম বাঁদরের মতো, সবসময় এদিক-সেদিক দৌড়াচ্ছে!  উপনিষদ বলে, তুমি যা ভাববে, তাই হবে!

 করণীয়:

  • নেতিবাচক চিন্তা ধরো, “আমি তো পারবো না!” “আমি অলস!”, এসব বাদ! 
  • পজিটিভ থট রিপ্লেসমেন্ট করো, “আমি এটা পারবো!”, “আমি প্রতিদিন ১০ মিনিট পড়াশোনা করবো!”
  • ২ মিনিট গভীর শ্বাস নাও, দেখবে মন ক্লিয়ার হয়ে গেছে! 

৩. “ধ্যান” – অভ্যাসের সঙ্গে ছোট্ট রিচুয়াল জুড়ে দাও! 

 কী বলে উপনিষদ?
তোমার মন এমনভাবে প্রোগ্রাম করা যে, একটি নির্দিষ্ট অভ্যাসের সঙ্গে যদি কিছু যুক্ত করো, তাহলে সেটা স্বাভাবিকভাবে হতে শুরু করবে!

 করণীয়:

  • পড়াশোনা শুরুর আগে একটা ক্যান্ডেল জ্বালাও বা চা বানাও! 
  • গান শুনতে শুনতে যোগব্যায়াম করো! 
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢোকার আগে ১০ বার লম্বা শ্বাস নাও (এতে তুমি কম স্ক্রল করবে!)

৪. “অপরিগ্রহ” – বাহানা করা বন্ধ করো! 

 কী বলে উপনিষদ?
“আমি সময় পাই না!”, “মুড নেই!”, এসব আসলে তোমার মাথার বানানো গল্প!  উপনিষদ বলে, বাহানা বাদ দিয়ে কাজে ফোকাস করো!

 করণীয়:

  • প্রতিদিন ৫ মিনিট দিয়ে শুরু করো! (হ্যাঁ, মাত্র ৫ মিনিট!)
  • যদি মুড না থাকে, তাহলে নিজেকে বলো, “এখন না করলে আর করবো না!” (স্পয়লার: তুমি করবেই! )
  • তোমার সময় চেক করো! (সারাদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কত সময় কাটাও? )

৫. “শ্রদ্ধা” – নিজের প্রতি সম্মান রাখো 

 কী বলে উপনিষদ?
তুমি যদি নিজের উপর বিশ্বাস না রাখো, তাহলে অন্য কেউ কেন রাখবে? 

 করণীয়:

  • নিজেকে প্রতিদিন মনে করিয়ে দাও, “আমি যা চাই, সেটা অর্জন করতে পারি!”
  • নিজেকে ছোট করা বন্ধ করো! (“আমি লাজুক”, “আমি ভালো না”, এসব ভুল!)
  • সফল হলে ছোট্ট রিওয়ার্ড দাও! (একটা চকোলেট? বা এক্সট্রা ১০ মিনিট Instagram? )

৬. “তপস্যা” – কষ্ট একটু মিষ্টি করে নাও! 

 কী বলে উপনিষদ?
জীবনের সব ভালো জিনিস কষ্ট ছাড়া পাওয়া যায় না! কিন্তু কষ্টকে মিষ্টি করা যায়! 

 করণীয়:

  • অভ্যাস কঠিন লাগলে, তাকে মজার বানাও! (যেমন, বায়োলজি পড়তে হলে Pinterest থেকে colorful notes বানাও!)
  • একটা চ্যালেঞ্জ নাও! (৩০ দিনের জন্য প্রতিদিন ১০ মিনিট নতুন অভ্যাস করো!)
  • মনে রাখো, প্রথম ৩ দিন কঠিন লাগবে, তারপর মজাই লাগবে!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top