পরীক্ষার নাম শুনলেই বুকটা ধকধক করে? মনে হয়, এ যেন মহাযুদ্ধের ডাক? জানি, পরীক্ষা মানেই প্রেশার, মা-বাবার আশা, টিচারের টিপ্পনী, বন্ধুরা কে কত পাবে, সব মিলিয়ে মাথার মধ্যে দমবন্ধ অবস্থা! কিন্তু বন্ধুরা, চিন্তা কোরো না! আজ আমরা উপনিষদের অমৃতবাণী থেকে এমন কিছু উপায় শিখব, যা তোমার পরীক্ষার ভয়কে কর্পূরের মতো উড়িয়ে দেবে!
১. “আত্মা অজর, অবিনশ্বর” , নিজের মূল্য বুঝো!
উপনিষদ বলে, “ন জায়তে ম্রিয়তে वा কদাচিত্।” অর্থাৎ, আত্মা কখনও জন্ম নেয় না, মরে না। পরীক্ষায় নম্বর কম পেলেও তোমার মূল্য কমবে না। তুমি আত্মা, অজর, অমর, অবিনশ্বর! নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াও, নম্বর তোমার পুরো সত্ত্বা নির্ধারণ করতে পারে না।
২. “ধ্যানমূলং গুরুর্মূর্তিঃ” , মেডিটেশন করো
উপনিষদে ধ্যানের কথা বারবার বলা হয়েছে। পরীক্ষা আসার আগের রাতে একটু মেডিটেশন করো। গভীর শ্বাস নাও, চোখ বন্ধ করে নিজের মনের মধ্যে শান্তি খুঁজে পাও। পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র খুলেই যদি টেনশন ধরে, তখনও কয়েক সেকেন্ড মেডিটেশন করে নাও। মানসিক শান্তি নিয়ে লিখলে সব উত্তর মনে পড়বে।
৩. “সত্যমেব জয়তে” , নিজেকে ঠকিয়ো না
অনেকেই ভাবে, পরীক্ষা মানেই টুকলি বা চিটিং একটা অপশন। কিন্তু উপনিষদ বলে, “সত্যমেব জয়তে”, সত্যই জয়ী হয়। সৎ পথে থাকো, মন দিয়ে পড়াশোনা করো। মিথ্যা বা ফাঁকি দিয়ে যদি পাশ করো, সেই সাফল্য কখনও স্থায়ী হবে না।
৪. “তৎ ত্বমসি” , নিজেকে বড় মনে করো
“তৎ ত্বমসি” অর্থাৎ “তুমি-ই সেই!” পরীক্ষার আগে মনে করো, তুমি-ই সেরা। আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি। মনে মনে বলো, “আমি পারব! আমি-ই সেই যাকে কেউ হারাতে পারবে না!”
৫. “অহং ব্রহ্মাস্মি” , নিজের মধ্যে ঈশ্বরত্ব খুঁজে নাও
উপনিষদে বলা হয়েছে, “অহং ব্রহ্মাস্মি”, আমি-ই ব্রহ্ম। নিজের মধ্যে ঈশ্বরত্ব খুঁজে নাও। পরীক্ষাকে যুদ্ধ ভেবে নিজেকে যোদ্ধা বানাও। প্রতিটা প্রশ্নই যেন তোমার জন্য একেকটা মিশন, আর তুমি সেই মিশন পূরণে বদ্ধপরিকর।
৬. “অন্নং ব্রহ্মেতি” , পুষ্টিকর খাবার খাও
হ্যাঁ রে, উপনিষদে এমন কথাও বলা হয়েছে! পেট না ভরলে মনেও শান্তি আসবে না। পুষ্টিকর খাবার খাও, দেহ সুস্থ রাখো। সুস্থ দেহেই সুস্থ মন, আর সুস্থ মনেই ভালো পড়াশোনা।
শেষ কথা
পরীক্ষা জীবনের একটা ছোট অংশ মাত্র। এর জন্য ভয় পেয়ো না। উপনিষদের শিক্ষা থেকে সাহস নাও, আত্মবিশ্বাস বাড়াও। তুমিই পারবে! বলো তো, উপনিষদের কোন বাণী তোমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করল?