৭টি উপায় কিভাবে উপনিষদ অনুযায়ী আত্মজ্ঞান বাড়াবে

তুমি কি জানো, তোমার ভেতরেই লুকিয়ে আছে এক সুপারহিরো?
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছো! আত্মজ্ঞান হলো সেই সুপারপাওয়ার, যেটা তোমাকে বানাবে অনবদ্য, অপরাজেয় এবং সত্যিই সুখী। আর মজার ব্যাপার কী জানো? এই সুপারপাওয়ার পাওয়ার জন্য তোমাকে ওয়ান্ডার ওম্যান বা সুপারগার্ল হতে হবে না। তোমার দরকার শুধু একটু উপনিষদের জ্ঞান!

চল, এবার সরাসরি ডাইভ দিই সেই ৭টি ম্যাজিক ট্রিকে, যেগুলো উপনিষদের অমৃতবাণী থেকে এসেছে, আর তোমার আত্মজ্ঞানকে দিবে এক্সট্রা বুস্ট!

১. ‘তত্ত্বমসি’ – তুমি যেমন, ঠিক তেমনটাই সেরা!

তত্ত্বমসি মানে ‘তুমি সেই’, অর্থাৎ, তুমি নিজেই অসীম শক্তির অধিকারী। ইনস্টাগ্রামে ‘পারফেক্ট’ ছবির পিছনে লুকিয়ে থাকা ফিল্টারগুলো ভুলে যাও! উপনিষদ বলছে, আসল সৌন্দর্য তোমার ভেতরেই। নিজেকে নিয়ে কনফিডেন্ট হও, কারণ তুমি যে যেমন, তাই-ই ইউনিক।

২. ‘অহং ব্রহ্মাস্মি’ – নিজের মূল্য বুঝো!

আমাদের চারপাশের পৃথিবী কত কিছু দিয়ে আমাদের বিচার করে, লুকস, গ্রেড, ফলোয়ার্স! কিন্তু উপনিষদ বলে, তুমি নিজেই ব্রহ্ম, মানে তুমি অনন্ত, তোমার মূল্য অমূল্য। তুমি যখন নিজের এই মূল্য বুঝতে পারবে, তখন বাইরের সবার মতামত তুচ্ছ মনে হবে।

৩. ‘অন্তরমুখী হও’ – সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্রল বন্ধ করো!

অন্তরমুখী হওয়ার মানে হলো নিজের মধ্যে ডুব দেওয়া। প্রতিদিন কয়েক মিনিট ধ্যান করো। নিজেকে প্রশ্ন করো, ‘আমি আসলে কে?’, ‘আমি কী চাই?’। যখন নিজের ভেতরের আওয়াজ শোনার অভ্যাস গড়ে তুলবে, তখন বাইরের আওয়াজগুলো আর তোমাকে বিরক্ত করবে না।

৪. ‘শ্রবণ, মনন, নিদিধ্যাসন’ – জ্ঞানকে নিজের করে নাও

শ্রবণ মানে জ্ঞান অর্জন, মনন মানে চিন্তা করা, আর নিদিধ্যাসন মানে সেই জ্ঞানকে জীবনে প্রয়োগ করা। আজ তুমি যে মটিভেশনাল ভিডিও দেখছো বা এই আর্টিকেল পড়ছো, সেটা শুধু দেখে বা পড়ে রেখে দিলে হবে না। সেটা নিয়ে ভাবো, সেটাকে জীবনের অংশ বানাও।

৫. ‘কর্মযোগ’ – কাজ করো, ফলের চিন্তা বাদ দাও!

পরীক্ষার ফল, রিলের ভিউ, বন্ধুর কমেন্ট, সব সময় ফল নিয়ে চিন্তা? উপনিষদ বলছে, শুধু কাজ করো, ফলের চিন্তা করবে না। যখন তুমি ফল নিয়ে টেনশন ছেড়ে দিয়ে শুধু কাজের মজা উপভোগ করবে, তখনই তোমার আত্মজ্ঞান বাড়বে।

৬. ‘বৈরাগ্য’ – অপ্রয়োজনীয় জিনিস ছেড়ে দাও

না, তোমার প্রিয় চিপস বা ফেভারিট সিরিজ ছেড়ে দিতে বলছি না! বৈরাগ্যের মানে হলো যা তোমার আত্মার শান্তি নষ্ট করে, সেগুলো ছেড়ে দেওয়া। টক্সিক ফ্রেন্ডশিপ, অহেতুক জেলাসি, কিংবা অতিরিক্ত কম্পারিজন, এসবের দরকার নেই!

৭. ‘সৎসঙ্গ’ – সঠিক মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাও

তোমার চারপাশের মানুষ কেমন, সেটা তোমার আত্মজ্ঞানেও প্রভাব ফেলে। উপনিষদ বলে, জ্ঞানীদের সঙ্গে সময় কাটাও, ভালো বই পড়ো, ইতিবাচক চিন্তাধারার মানুষদের সঙ্গে থাকো। এতে তোমার ভেতরেও ইতিবাচক শক্তি বাড়বে।

শেষ কথা:

আত্মজ্ঞান বাড়ানো মানে নিজেকে নতুন করে চেনা। নিজেকে ভালোবাসো, নিজের ভুলগুলো মেনে নাও, আর উপনিষদের অমূল্য শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে চলো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top