৮টি কারণ কেন অলসতা থেকে সফলতা আসে না – উপনিষদ যা বলে

তুমি সকাল ১১টায় ঘুম থেকে উঠলে… আবার ঘুমিয়ে পড়লে।

ঘুম ভাঙে যখন WhatsApp-এ নটিফিকেশন আসে – “Bro, তোর Assignment জমা দেওয়া লাগবে আজকে।” তখন মাথা চুলকে উঠে বসো, বিরক্ত হয়ে ভাবো – “কাল থেকে সিরিয়াস হব, আজকে আর থাক।”

এই ‘কাল’ কোনোদিন আসে না। ঠিক এইখানেই ঢুকে পড়ে অলসতা নামক দৈত্যটা

 সমস্যাটা আসলে কী?

তুমি চাও সফল হতে।
তোমার Instagram-এ এমন সব বন্ধুর ছবি, যারা জিম করে অ্যাবস বানায়, কোডিং শিখে ফ্রিল্যান্স করে, বা রিল বানিয়ে ফলোয়ার বাড়ায়।
আর তুমি?
তুমি ওদের স্ক্রল করো। Like দাও। তারপর নিজেকে বলো, “আমিও পারব… কিন্তু একটু পরে শুরু করব।”

এই ‘পরে’ শব্দটাই যে তোমার সব স্বপ্নকে গিলে খাচ্ছে, সেটা বুঝতেই পারো না।

 উপনিষদ কী বলে অলসতা নিয়ে?

আমরা ভাবি, উপনিষদ মানেই ভীষণ সিরিয়াস কোনো ধর্মীয় বই।
Reality check: উপনিষদ হচ্ছে আত্মজ্ঞান, নিজেকে চেনার science book!
আর এখানে অলসতার মতো অসুখের জবাবও লুকিয়ে আছে।

১. অলসতা = আত্মঘাতী অস্ত্র

“আত্মানং রথিনং বিদ্ধি শরীরং রথমেব তু…” – কঠ উপনিষদ
(নিজেকে রথের সারথি ভাবো আর শরীরকে রথ।)

রথ যদি ঘুমিয়ে থাকে, চালাবে কে? অলসতা মানে সেই চালক ঘুমিয়ে পড়েছে।
তুমি যদি নিজের শরীরকে ঠিকমতো চালাতে না পারো, জীবনটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

২. অলস মানেই মনের দাস

“মন এভ মনুষ্যানাং কারণং বন্ধ মোক্ষয়োঃ” – কঠ উপনিষদ
(মানুষের মুক্তি বা দাসত্ব – সব মনের ওপর নির্ভর।)

তোমার মন যদি বলে “আরও ৫ মিনিট ঘুমাই”, আর তুমি সেটা মানো – তাহলে তুমি আসলে কার দাস? নিজের না মনের?

 ৮টি কারণ কেন অলসতা থেকে সফলতা আসে না

১. তুমি সময়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাও।
২. নিজের কথা নিজেই বিশ্বাস করো না।
৩. যে কাজটা তোমার ভবিষ্যৎ বদলাতে পারত, সেটা তুমি করো না।
৪. দিন শেষে guilt আর frustration বাড়ে।
৫. তোমার চারপাশের লোকজন তোমাকে সিরিয়াসলি নেয় না।
6. তুমি নিজের potential নষ্ট করো।
7. নিজেকে blame করে অন্যদের হিংসে করো।
8. একসময় বিশ্বাস করতে শেখো না – তুমি সত্যিই কিছু পারবে।

এটাই সবচেয়ে ভয়ানক। Self-belief মরে গেলে, কিছুই সম্ভব না।

 ১. নিজের শরীরকে “রথ” ভাবো

প্রতি সকাল ঘুম থেকে উঠে বলো –

“আজ আমি আমার রথ চালাব।”
অর্থাৎ শরীরকে কাজের মধ্যে রাখো। একটু push দাও নিজেকে।

 ২. অলসতা এলে প্রশ্ন করো – “এইটা আমার ধমর্ম তো?”

ধর্ম মানে এখানে “স্বধর্ম” – তোমার কর্তব্য।
তুমি কি সত্যি সত্যি এখন এই কাজটা না করে, নিজের স্বধর্ম পালন করছো?

উত্তর যদি “না” হয় – তাহলে কাজটা করো।

 ৩. প্রতিদিন ২ মিনিট নিজের মনের সঙ্গে বসো

মোবাইল অফ করে, চোখ বন্ধ করে বলো:

“আমি কে? আমি কী করতে এসেছি?”

উপনিষদ বলে, এই প্রশ্নই আসল জানার শুরু।

 ৪. নিজেকে মন্ত্র দিয়ে ট্রেন করো

Morning mantra:

“আমি করবো, কারণ আমি পারি। আমি অলসতার দাস না।”

Repeat this 5x every morning before scrolling Insta.

 এক মিনিটের স্পিরিচুয়াল এক্সারসাইজ – এখনই করো!

 নাম – “বুদ্ধি vs মন” ব্রিদিং ট্রিক

  • ১ মিনিট চোখ বন্ধ করো।
  • মন যা বলছে (যেমন: “আজ না করে কাল কর”), সেটা একটা ভেসে যাওয়া মেঘের মতো ভাবো।
  • তারপর নিজের ভিতরের “বুদ্ধি” কে জাগাও, যে বলবে – “No bro, আজই করা লাগবে!”
  • এইভাবে মনের কথা শুনে বাঁচবে না, বুদ্ধি দিয়ে চালাবে জীবন।

 শেষ কথা – ভাই, এটা তোমার জীবনের শুরু, অলসতার নয়!

তুমি যদি এখনই না জাগো, তোমার রথ অন্য কেউ চালাবে।
আর যদি এখন থেকেই ছোট্ট ছোট্ট কাজ করে শুরু করো – তোমার রাস্তাই খুলে যাবে।

উপনিষদ বলে – “জ্ঞানম্ লভ tvam”
“তুমি নিজেই জ্ঞান অর্জন করতে পারো, নিজের আলোয় জ্বলে উঠতে পারো।”

So rise up, bro.
Be the rider, not the sleeper.

 Challenge for Today: Just Do One Thing You’ve Been Avoiding.
Write it on your wall, journal, or even Insta story with #RiderNotSleeper – and tag that lazy version of yourself.

তাই দেরি না করে এখনই শুরু করো। অলসতা হলো শুধু অন্ধকার, আর তুমি হলে আলো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top