৮টি উপায় কিভাবে উপনিষদ অনুযায়ী পরিবারে শান্তি আনবি 


স্কুল থেকে বাসায় ফিরে এলি, মুড একদম অফ। গেমিং পার্টি মিস করলি, ফ্রেন্ডের সাথে ঝামেলা, আবার বাসায় ঢুকতেই শুরু ,  বাবা বলছে, “ফোনটা নামাও, পড়াশোনা করো।” মা বলছে, “ডাইনিং টেবিলে কথা কম বলো!” আর ভাইবোনের সাথে ঝগড়া তো কমন। মনে হয় পুরো বাড়িটা একদম বোরিং ও বাজে ফিলিংসে ভর্তি।

Problem টা কোথায়?
বাসা মানেই শান্তির জায়গা হওয়ার কথা। কিন্তু আজকাল সেটা যেন স্ট্রেস, ইগো ক্ল্যাশ আর misunderstanding-এর কারখানা। কেউ কাউকে বুঝে না, সবাই শুধু নিজের কথা ভাবছে।
এটা শুধু ফ্যামিলি ইস্যু না ,  এটা তোর নিজের মনের সমস্যারও সিম্পটম।

তোর সমস্যা তো বুঝলাম। সমাধান কী?
এখন থেকে তোকে একজন প্রাচীন ‘life coach’ এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি ,  উপনিষদ!
এইসব বইতে Netflix-style ডায়লগ নেই, কিন্তু লাইফের জন্য pure cheat codes আছে।

চল, দেখে নিই উপনিষদ অনুযায়ী ৮টি উপায় ,  যেগুলো ফলো করলে তোর ফ্যামিলিতে শান্তি আসবেই:

 ১. নিজেকে জানবি ,  “আত্মানং বিদ্ধি”

উপনিষদ বলে:
“আত্মানং বিদ্ধি।”
নিজের মন, ইগো আর ফিলিংস চেনা শুরু কর। যখন তুই বুঝবি, “ওকে, এই রাগটা আমার ভেতরের ,  বাইরের কারো দোষ না,” তখন ঝগড়ার ৫০% এমনিতেই কমে যাবে।

Life Hack:
পরের বার বাড়িতে কারো উপর রেগে গেলে ,  ৫ সেকেন্ড থেমে, নিজেকে জিজ্ঞেস কর, “আমি কেন রেগে গেলাম?”
এই এক্সারসাইজ তোর emotional control বাড়াবে।

 ২. ‘শান্তি’ চাইলেই পাস ,  দেবে, তখনই পাবি

উপনিষদ বলে:
“যথা চিন্ত্যো, তথা ভবতি” ,
তুই যেমন চিন্তা করবি, তেমনই তোকে রিয়েলিটি দেবে।
যদি ফ্যামিলিতে শান্তি চাস, তোকেই আগে শান্ত vibes দিতে হবে। Angry face, rude words দিলে রিটার্নও সেটা-ই আসবে।

 ৩. Speech Control = Peace Control

উপনিষদে আছে:
“মৌনম্ কল্যাণম্” ,  চুপ থাকা নিজেই এক ধরনের শক্তি।
সাধারণত ঝগড়া escalate হয়, কারণ আমরা ‘react’ করি। React না করে ‘pause’ নে। না বললেই তো ঝগড়া কমবে।
Pro move:
গেমের Rage Quit-এর মতো ,  কথার সময় ‘Rage Pause’ practice কর।

 ৪. আপন শক্তিকে চিনবি ,  ‘তৎত্বমসী’ Mindset

“তুই যা খুঁজছিস, সেটা তোর মধ্যেই আছে।”
ফ্যামিলির কারো respect বা attention পেতে desperate হবার দরকার নেই। যখন বুঝবি তোর ভেতরেই peace & happiness আছে, তখন বাইরের approval-এর দরকারই পড়বে না।

 ৫. ইগো কমালে, শান্তি বাড়বে

“আমি ঠিক, তুই ভুল” ,  এই Mindset ফ্যামিলি কোয়ালিটি একদম নষ্ট করে।
উপনিষদ বারবার বলে, “নেহি নেহি নেহি ,  আমি কিছুই জানি না” এই Attitude ধরে রাখ। হিউমিলিটি মানেই শান্তি।

 ৬. Attachment ছাড়তে শিখবি ,  “নেতি নেতি” ফর্মুলা

“এই ফোনটা আমার, এই গেমটা আমার, এই ফ্যামিলি আমার” ,  এই ‘আমার-আমার’ attitude ই দুঃখের রুট।
উপনিষদ শেখায়, “নেতি নেতি” ,  এটাও আমি না, ওটাও আমি না।
ফ্যামিলির সাথে healthy distance রাখা মানেই emotional stability বাড়ানো।

 ৭. Duty First ,  ‘ধর্ম’ hold করে চল

Family শান্তির বড় secret ,  নিজের কাজ ঠিকমতো করা।
উপনিষদ বারবার বলে, “স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ” ,  নিজের role পালন কর।
ছোট ভাই হলে, ছোট ভাইয়ের মতো behave কর। Elder কে respect করা, নিজের কাজ ফাঁকি না দেয়া ,  এগুলোই বাড়ির ভিত শক্ত করে।

 ৮. শান্তি তোর মন থেকে শুরু হয় ,  বাইরে নয়

উপনিষদ শেষ হয় এই শব্দে:
“শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ”
বাইরের ঝামেলা কখনই পুরো শেষ হবে না। কিন্তু তোর ভেতরের শান্তি জিইয়ে রাখলে, সব ঝামেলা কম ইম্প্যাক্টফুল হবে।

 তোর আজকের স্পিরিচুয়াল এক্সারসাইজ:

 উপনিষদিক ‘শান্তি মন্ত্র’ ,  Just ২ মিনিট।

  1. চুপচাপ বসে চোখ বন্ধ কর।
  2. মনে মনে বল:
    “ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ”
    3 বার।
  3. প্রতি শব্দের পর ২ সেকেন্ড নিঃশ্বাস আটকে রাখ।
  4. রিলিজ করতে করতে ভাব: “আমার ভিতরে শান্তি, ফ্যামিলিতে শান্তি, পৃথিবীতে শান্তি”।

 শেষ কথা:
বাসা কখনই পারফেক্ট হবে না। কিন্তু তুই হলে পারফেক্ট ভাই, ছেলে বা মানুষ ,  তখন ফ্যামিলিও শান্তিতে থাকবে।
উপনিষদ বলে, “বাহ্যিক পরিবর্তনের আগে, ভিতরের পরিবর্তন কর।”

So, Bro ,  আজ থেকেই প্র্যাকটিস শুরু কর।
Family ফাইটের বদলে Family vibe তৈরির দায়িত্ব এবার তোর! 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top