৮টি উপনিষদীয় চর্চা যা কামনা থেকে মুক্তি দেয়

তুই বলেছিস “শেষটা এইটায়”… কিন্তু তোর আঙুল তো থামেই না। হঠাৎ মনে হচ্ছে, “আমি কী করছি?” একটানা স্ক্রল করে মাথা ঘুরছে, মন ভারী, আর একটা অদ্ভুত শূন্যতা। যেন কিছুই তোর নিজের কন্ট্রোলে নেই।

প্রব্লেমটা কী?

ভাই, এটা শুধু স্ক্রলিং না। এটা সেই অসীম কামনার চক্র, যেটা আমাদের দিনরাত পেছন থেকে টেনে ধরে রাখে।

  • “ওর মতো গার্লফ্রেন্ড চাই।”
  • “ওর মতো গাড়ি, ফিজিক, followers চাই।”
  • “আমি ফেমাস হতে চাই, রিচ হতে চাই… এখনই চাই।”

এই “চাওয়া” আমাদের নিজের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে। মাথার মধ্যে হাইপার loop চলছে, “আরো চাই, আরেকটু চাই।”

এইটাই কামনা, Upanishads যাকে বলে “Trishna”, বা তৃষ্ণা।
আর এই তৃষ্ণার জ্বালায় আমরা ক্লান্ত, distracted, broken হয়ে যাচ্ছি, বোঝাই না, কবে এটা থামবে।

উপনিষদ বলে কী?

“যঃ কামে ভ্যত্‌ কামানুপশ্যতি, সঃ কামে ভ্যত্‌ কাঙ্‌ক্ষতি” ,  Brihadaranyaka Upanishad

অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নিজের কামনাকে বাইরের জিনিসে খোঁজে, সে কখনই শান্তি পায় না।

ভাই, এই কথাটা একদম লেজেন্ডারি রিয়াল। কারণ বাইরে যতই চাও, শান্তি নিজের ভিতর না পেলে, কিছুতেই তোর মন থামবে না।

৮টি উপনিষদীয় চর্চা যা কামনা থেকে মুক্তি দেয় 

১. “কে আমি?”,  আত্মপরিকল্পনা (Self-inquiry)

 চর্চা কর: আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস কর, “আমি কি শুধু আমার দেহ? না আমার Instagram ID?”

“নেহি নেহি আত্মা গুহায় নিহিত” ,  Katha Upanishad

ভাই, তুই কোনো এক্সটারনাল label না। তুই একজন সচেতন আত্মা, যে observer, সবকিছু দেখে, কিন্তু নিজে clean থাকে।

২. “চাওয়ার আগুন” দেখ এবং ছাড় (Witness the craving)

তুই যখন scrolling করিস, বা কারো success দেখে হিংসে করিস, তখন একটু থাম। Just নিজেকে জিজ্ঞেস কর:  “এই চাওয়াটা আসলেই আমার দরকার, নাকি এটা আমাকে দাস বানাচ্ছে?”

“যঃ কামেষু ন অনুরজ্যতে” ,  Mundaka Upanishad

যে কামনার ফাঁদে পড়ে না, সে-ই সত্যিকারের মুক্ত।

৩. দেহকে দাস নয়, বন্ধু বানাও (Master the body, don’t obey it blindly)

সব কামনার শিকড় অনেক সময় দেহজ ইন্দ্রিয় সুখে। চিপস, ফিজিক, সেক্স, ক্লাউট, এগুলো রিয়াল, কিন্তু অস্থায়ী।

“ইন্দ্রিয়াণি হি প্রমাথিনি হরন্তি প্রসভং মনঃ” ,  Katha Upanishad
 চর্চা কর: একদিন নিজেকে challenge দে, “আজ একটা desire ফলো করব না।” Watch what happens.

৪. “Neti Neti” কৌশল, Not this, Not this

Upanishads বলে: “এই না, ওই না”, সবকিছুর পেছনে গিয়ে বুঝবি, তুই অনেক বড়ো।
 চর্চা কর: একটা ক্ষণিক সুখ আসলে বল, “এটাও আমি না, এটা অস্থায়ী।” Repeat mentally: “Neti Neti.”

৫. নিরবতা, ভিতরের আওয়াজ শুন (Silence = Power)

“মৌনং তপঃ” ,  Chandogya Upanishad
চুপ থাকা মানে দুর্বলতা না। মানে, তুই ভিতরে নিজের শক্তি জমাচ্ছিস।
 চর্চা কর: দিনে ৫ মিনিট কোনো স্ক্রিন ছাড়া, একদম চুপচাপ বসে থাক। স্রেফ নিঃশ্বাস গুন।

৬. “তুমি যা খুঁজছো, তুমি নিজেই তা” (Tat Tvam Asi)

“তৎ ত্বম অসি” ,  Chandogya Upanishad
তুই যাকে ফলো করিস, যাকে হিরো ভাবিস, তার qualities তো তোর মধ্যেও আছে। শুধু এক্সপ্লোর করিস না!
 চর্চা কর: আজ নিজের একটা quality লিখ, যেটা তুই নিজে admire করিস।

৭. সত্যতা, “Cool হও, Fake না”

“সত্যমেব জয়তে” ,  Mundaka Upanishad
নিজেকে যেভাবে প্রেজেন্ট করিস, সেটা fake হলে তোর আত্মা তোর ওপর রাগ করবে, বুঝলি?
 চর্চা কর: পরেরবার যখন নিজের achievements বা story বলিস, একটু honesty রাখ। That’s cooler.

৮. ধ্যান, “তর তর তর, শান্তি incoming…”

Upanishads ধ্যানকে বলে “মানসিক জেট ফুয়েল।”
 চর্চা কর:

  • চোখ বন্ধ
  • গভীর নিঃশ্বাস
  • Repeat কর: “Aham Brahmasmi” (আমি ব্রহ্ম, আমি পূর্ণ)
    প্রতিদিন ২ মিনিট, mind-blowing clarity আসবে।

শেষ কথা: কামনা থেকে মুক্তি মানেই বোরিং না, ভাই। মানে, তুই আসলেই Powerful হচ্ছিস।

এখনকার দুনিয়া তোর মনকে প্রতিদিন distraction, লোভ আর fake glamour দিয়ে test করে। কিন্তু যদি তুই একটু থামিস, নিজের ভিতর তাকাস, উপনিষদের ওই timeless কথাগুলো চর্চা করিস, তাহলে তুই আর কারো ফলোয়ার না। তুই নিজের জীবনের লিডার।

 আজকেই একটা স্পিরিচুয়াল চ্যালেঞ্জ:

“Aham Brahmasmi” মন্ত্রটা মনে মনে ২১ বার বল, চোখ বন্ধ করে। এরপর একটা Deep Breath নে। নিজের বুকের ভেতরে একটা আলো কল্পনা কর, যেটা সব কামনাকে জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

এটা তোর নিজের শক্তির আগুন। Use it wisely, ভাই।
তুই যদি চাস, তোর জীবন একদম next-level হতে পারে।

তোর দাদা মতো ভাই,
সবসময় পাশে আছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top