৮টি উপদেশ যা উপনিষদ অনুযায়ী নিজের সত্তা চিনতে শেখায়

 রাত ৩টা। চোখে ঘুম নেই। মাথায় হাজারো চিন্তা।

বন্ধুদের সাথে ফেক স্মাইল, ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, রিলেশনশিপের ঝামেলা, আর ইনস্টাগ্রামে অন্যের পারফেক্ট লাইফ দেখে নিজেকে দুর্বল মনে হওয়া, সব কিছু মিলিয়ে মাথায় হেভি কনফিউশন।

“আমি আসলে কে? আমি কী চাই?” ,  এই প্রশ্নটাই বারবার ঘুরছে মাথায়।

বন্ধু, এই ফিলিং একেবারেই নরমাল। কিন্তু জানো কী? এই “কে আমি?” প্রশ্নটাই হলো আসল গেম-চেঞ্জার।
আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই উপনিষদ আমাদের দিচ্ছে সুপার পাওয়ার লেভেলের ৮টা উপদেশ! 

প্রবলেম টা আসলে কী?

তোমার মাথায় লোড পড়ছে কারণ তুমি নিজের “সত্তা” বা আসল পরিচয় ভুলে গিয়েছো।
স্কুল, সোশ্যাল মিডিয়া, সোসাইটি সব মিলে আমাদের একটা ফেক পরিচয় তৈরি করে দিচ্ছে ,
“Marks, Money, Muscle ,  এটাতেই আমার ভ্যালু”

But, bro, এই ফেক আইডেন্টিটি ধরেই আমাদের দুঃখের শুরু।

১. “তোমার শরীর তুমি নও”

 উপনিষদ বলে:

“অহম্ ব্রহ্মাস্মি” ,  আমি ব্রহ্ম, আমি শুধু এই শরীর না।

Body is just a container, like a cool game’s character skin ,  আসল তুমি হচ্ছে Consciousness!

২. “চিন্তা তোমার পরিচয় নয়”

 তোমার মাথায় নেগেটিভ চিন্তা আসে মানেই তুমি খারাপ না।
উপনিষদ শেখায়:

“মনঃ ক্রিয়ায় বধ্যতে ন তু আত্মা”
,  মন বাঁধে, কিন্তু আত্মা সবসময় মুক্ত।

৩. “ডেটাচমেন্ট = সুপারপাওয়ার”

 বন্ধু বদলে যায়, মার্কস কমে, ব্রেকআপ হয় ,  এগুলো নরমাল।
উপনিষদ শেখায়:

“ন হি কশ্চিত ক্ষণমপি জাতু তিষ্ঠত্যকম:।”
,  সব কিছু বদলাবে। ধরা পড়লে শুধু কষ্ট। ছেড়ে দাও, ফ্লোতে থেকো।

৪. “সত্যি সুখ বাইরের জিনিসে নেই”

 গেম, গ্যাজেট, গার্লফ্রেন্ড ,  এগুলো সব এক্সটারনাল প্লেজার।
উপনিষদ বলে:

“আনন্দং ব্রহ্মেতি বিজানাত্”
,  আসল আনন্দ তো তোমার ভিতরেই আছে।

৫. “নিজেকে প্রশ্ন করো”

 বারবার নিজেকে জিজ্ঞাসা করো:
“আমি আসলে কে?”
উপনিষদ এটাকে বলে আত্ম-অনুসন্ধান।
প্রশ্নই হলো উত্তর খোঁজার প্রথম ধাপ।

৬. “ভয় কেটে যাবে জ্ঞানেই”

 ব্রেকআপের, ফেইলিউরের, সোশ্যাল রিজেকশনের ভয় আসলে ইগোর ভয়।
উপনিষদ বলে:

“যঃ পশ্যতি সঃ ন ভিয়তি”
,  যে সত্য নিজেরে চেনে, তার কোনো ভয় থাকে না।

৭. “ধর্ম মানে ড্রাইভিং ম্যাপ”

 জীবনের গোল কী? কোথায় যাচ্ছো? কোন পথে চলবে?
উপনিষদ বলে:

“ধর্মো রক্ষতি রক্ষিতঃ।”
,  নিজের সত্য দায়িত্ব বুঝে কাজ করো, লাইফ নিজে ঠিক হয়ে যাবে।

৮. “তোমার ভিতরেই সব উত্তর লুকানো”

গুগল, গ্যাজেট, গুরুর কাছে খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত?
উপনিষদ বলে:

“তৎ ত্বম অসি” ,  তুমি নিজেই সেই সর্বশক্তিমান সত্তা।

 রিয়েল-লাইফ হ্যাক: উপনিষদের মাইন্ডসেট ইনস্টল করো!

এখনি এই ছোট্ট স্পিরিচুয়াল এক্সারসাইজ ট্রাই করো , 

 “আমি কে?” ব্রিদিং ট্রিক

১. চুপচাপ চোখ বন্ধ করো।
২. শ্বাস নাও, মনে বলো:

আমি কে?
৩. শ্বাস ছাড়ো, মনে বলো:
আমি শরীর না, আমি চিন্তা না। আমি কেবল পর্যবেক্ষক।

মাত্র ৫ মিনিট।
মন ঠাণ্ডা, চিন্তা ক্লিয়ার ,  রিয়েল আইডেন্টিটি হিট করতে শুরু করবে।

 শেষ কথা:

ভাই, এই পৃথিবী বারবার তোমার উপর ট্যাগ লাগাবে ,
“তুই লুজার”, “তুই স্মার্ট”, “তুই এই”, “তুই ওই”।

উপনিষদ শিখায়:
তুই এগুলোর কিছুই না। তুই তার থেকেও অনেক অনেক বড়।
তুই নিজের সত্তা চেনা শুরু করলেই, লাইফের সব স্ট্রাগল সহজ হয়ে যাবে।

চলো, আজ থেকেই শুরু হোক তোমার আসল ‘আত্ম-রিস্পেক্ট’ এর জার্নি! 

 যদি চাও, পরের পোস্টে তোমার জন্য আরও দারুণ ‘উপনিষদ লেভেল’ হ্যাকস নিয়ে আসবো। কমেন্ট করো “Ready for More!”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top