৬টি ভুল যা চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট করতে পারে – উপনিষদ যা বলে

৬টি ভুল যা চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট করতে পারে ,  উপনিষদ যা বলে!

 “সাক্ষাৎকারে বারবার বাদ পড়ছেন? সিভি তো দুর্দান্ত, কিন্তু ডাক আসছে না?”
সমস্যা আপনার কপালে নয়, সমস্যা আপনার মাইন্ডসেটে। এবং এই বিষয়ে হাজার বছর আগেই আমাদের ঠাকুরদাদা উপনিষদরা চমৎকার টিপস দিয়ে রেখেছে। বিশ্বাস না হলে পড়ে দেখুন!

১️ আত্মবিশ্বাস নয়, আত্ম-সন্দেহে ডুবে থাকা

উপনিষদ বলে: “আত্মা জ্ঞান ছাড়া সবকিছুই অন্ধকার।”
আপনি নিজের যোগ্যতা নিয়ে যদি সন্দিহান থাকেন, ইন্টারভিউয়ার সেটা ঠিকই ধরতে পারবে। আত্ম-সন্দেহের কুয়াশা কাটিয়ে আগে নিজেকে জানুন, বুঝুন। আত্মবিশ্বাসের আলো ছাড়া চাকরির রাস্তায় অগ্রসর হওয়া অসম্ভব।

২️ ‘ফর্মুলা ফিট’ ভাবনা ,  নিজের আসল পরিচয় লুকানো

উপনিষদ বলে: “সত্যমেব জয়তে।”
আপনি যখন নিজের CV-তে, কভার লেটারে বা ইন্টারভিউতে ‘পারফেক্ট ক্যান্ডিডেট’ সাজতে গিয়ে নিজের আসল চিন্তা-ভাবনা, প্যাশন আর দৃষ্টিভঙ্গি গোপন করেন ,  তখনই হার নিশ্চিত। সত্য থাকলে চাকরিও থাকে।

৩️ ‘আমি তো সব জানি’ মানসিকতা

উপনিষদ বলে: “বিদ্যা দদাতি বিনয়ম।”
আপনি যত বড় ডিগ্রি-ধারীই হন না কেন, শিখতে না পারলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। বিনয় ছাড়া শেখা অসম্ভব, আর শেখা ছাড়া চাকরি পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

৪️ পরিকল্পনার অভাব ,  ‘এভাবে তো সবাই ইন্টারভিউ দেয়!’

উপনিষদ বলে: “উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান নিবোধত।”
উঠুন, জেগে উঠুন, প্রস্তুতি নিন। শুধু CV পাঠিয়ে অপেক্ষা করা কপালের খেলা নয়। পজিশন, কোম্পানি আর নিজেকে বুঝে কৌশল তৈরি করুন। বুদ্ধি খাটান।

৫️ ‘তাড়াহুড়ো করে যে-কোনো চাকরি পেতে চাওয়া’

উপনিষদ বলে: “আসক্তি সব দুঃখের মূল।”
চাকরি দরকার, বুঝতে পারছি। কিন্তু ‘যে-কোনো চাকরি’ পেতে গিয়ে নিজের প্যাশন, স্কিল আর ভবিষ্যতকে বিসর্জন দিলে ,  দু’মাস পরে আবার CV আপডেট করতে হবে। ধৈর্য ধরুন। সঠিক সুযোগের জন্য প্রস্তুত হোন।

৬️ নিজেকে ছোট ভাবা ,  ‘আমার তো এই যোগ্যতা নেই’ সিন্দুক মানসিকতা

উপনিষদ বলে: “অহং ব্রহ্মাস্মি।”
আপনি ভাবছেন ,  “আমার থেকে তো ওরা অনেক ভালো।” বিশ্বাস করুন, নিজেকে ছোট ভাবার চেয়ে বড় ভুল আর নেই। আপনি যা বিশ্বাস করবেন, সেটাই বাস্তব হয়ে উঠবে।

 উপসংহার:
আপনি যদি এই ভুলগুলো এড়িয়ে উপনিষদের মত শান্ত, আত্মবিশ্বাসী ও কৌশলী হন ,  চাকরি তো পাবেনই, বরং পছন্দের চাকরি আপনার দিকেই ছুটে আসবে।

আপনার মনে হয়, কোন ভুলটা আপনি সবচেয়ে বেশি করেন? কমেন্টে বলুন, দেখি কিভাবে উপনিষদীয় পথে সমাধান করা যায়!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top