সারাদিন পড়াশোনা, কোচিং, পার্টি, সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্রল , সব কিছুর মাঝে তুমিও হয়তো ভাবছো, “আরও কিছু পেলে, আরেকটু মজা করলে, আরেকটু ফ্লেক্স করলে, আমার লাইফ পারফেক্ট হয়ে যাবে।”
নতুন ফোন, নতুন শু, নতুন ফলোয়ার , সব পাওয়ার পরও একটা অদ্ভুত খালি খালি ফিলিং থেকে যায়, ঠিক তো?
এটাই হলো ‘ভোগের লুপ’ , যেখানে মজা-খুঁজতে-খুঁজতে, আসলে মনের শান্তিটাই হারিয়ে ফেলো।
প্রবলেমটা আসলে কী?
Gen Z লাইফ মানেই একটা ২৪x৭ কম্পিটিশন।
কে কেমন স্ট্যাটাস রাখছে, কে কত কুল, কে কতো “গ্যাদারিং” অ্যাটেন্ড করছে , সব দিক থেকে নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে আমরা এমন এক গোলকধাঁধায় পড়ে যাই, যেখানে সবকিছু পাওয়ার পরও ‘সুখ’ নামক জিনিসটা ঠিক ধরা দেয় না।
এটা কেবল তোমার সমস্যা না। এটাই মডার্ন লাইফের ‘ডিফল্ট মোড।’
উপনিষদের মতামত: সুখ কোথায়?
উপনিষদ বলে:
“যঃ সত্যং, সঃ সুখং।”
(যা সত্য, সেটাই সুখ।)
মানে, বাইরে যা কিছুই পাও, সেটা একদিন পুরনো হবেই।
কিন্তু তোমার ভেতরের ‘সত্য’ , তোমার মন, তোমার শান্তি , সেটা যদি স্টেবল থাকে, তখনই আসল সুখ।
৬টি কারণ কেন উপনিষদ বলছে: ভোগে নয়, সংযমে আসল সুখ!
১️ ভোগ ক্ষণিক, সংযম চিরস্থায়ী।
নতুন ফোন নিলে ক’দিন ভালো লাগে?
কিন্তু সংযম শিখলে, তুমি যা কিছুই পাও বা না পাও , শান্তি তোমার নিজের ভেতরে থেকে যায়।
২️ তোমার চাহিদা অ্যাকচুয়ালি কখনো শেষ হয় না।
উপনিষদ বলে:
“অসন্তোষঃ সর্ববিনাশকঃ।”
(অসন্তোষ সবকিছু ধ্বংস করে ফেলে।)
তোমার মন সবসময় “আরও চাই” বলে। সংযম শেখানো মানে হলো , মনের এই লোভের মেকানিজমটা হ্যাক করা।
৩️ ভোগ মানে বাইরের ফোকাস, সংযম মানে নিজের ওপরে কন্ট্রোল।
যখন তুমি বাইরের জিনিস দিয়ে হ্যাপি হতে চাও, তখন তুমি ওই জিনিসের উপর ডিপেন্ডেন্ট।
কিন্তু সংযম মানে , নিজের মাইন্ডকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা। That’s real power, bro.
4 ‘ভোগ’ দাসত্ব তৈরি করে, ‘সংযম’ রাজত্ব।
উপনিষদের ভাষায়:
“স্বমিৎ পতি হি সুখী।”
(নিজেকে যে জিততে পারে, সেই-ই আসল সুখী।)
জিনিসের দাস হয়ে গেলে ফ্রিডম নাই। সংযমের মাধ্যমে তুমি নিজের রাজা হয়ে যাও।
5 ভোগ তোমার এনার্জি খায়, সংযম সেটা বাঁচায়।
দিনশেষে ক্লান্ত, অলস, মুড অফ কেন লাগে জানো?
কারণ তোমার এনার্জি সব বাইরের ‘ভোগ’ চেষ্টায় শেষ। সংযম মানে হলো নিজের এনার্জি বাঁচিয়ে রাখা।
6 সংযম মানেই সুপারপাওয়ার।
যে নিজের ইচ্ছাকে কন্ট্রোল করতে পারে, তার কাছে জীবন কনট্রোলড।
উপনিষদ বলে:
“আত্মবিনিগ্রহে সুখ।”
(আত্মনিয়ন্ত্রণেই আসল সুখ।)
So, কী করবে এখন?
প্র্যাক্টিকাল স্পিরিচুয়াল এক্সারসাইজ:
নাম: “১ মিনিট কন্ট্রোল চ্যালেঞ্জ”
১. চোখ বন্ধ করো।
২. নিজের নিঃশ্বাসের দিকে মনোযোগ দাও।
৩. মনে মনে বলো: “আমি যা চাই, তার উপরে কন্ট্রোল আছে।”
৪. ১ মিনিট কেবল নিজের নিঃশ্বাসের ফ্লো দেখো।
এই এক মিনিটের এক্সারসাইজে তুমি নিজেকে শেখাবে , outside world যতোই ডিসট্রাক্ট করুক, তুমি ‘চাই’ আর ‘পাওয়ার’ এই দোটানায় নিজেকে হ্যাক করতে পারো।
শেষ কথা:
লাইফে সফল, হ্যাপি, কুল হতে চাইলে , বাইরের জিনিসের পিছনে ছোটো দৌড়াও না।
উপনিষদের মতো সংযমের লাইফস্টাইল মানে তুমি নিজের মনের বস।
আর সেই বাটন যেদিন তোমার হাতে থাকবে , সেদিনই লাইফ আসলেই তোমার হবে।
ভোগে নয়, সংযমে সুখ খুঁজতে শেখো , কারণ that’s how legends are made!
Ready to level up, bro?
আজই “১ মিনিট কন্ট্রোল চ্যালেঞ্জ” ট্রাই করে দ্যাখো, আর ফিল করো কেমন লাগে।
মনে রাখো: সংযম মানেই সুপারপাওয়ার।