৬টি উপায় কিভাবে উপনিষদ অনুযায়ী নেতিবাচক মানুষ এড়িয়ে চলবে

৬টি উপায় কিভাবে উপনিষদ অনুযায়ী নেতিবাচক মানুষ এড়িয়ে চলবে 

 “তুমি যতই পজিটিভ হও না কেন, কেউ না কেউ ঠিক তোমার ইনফিনিটি স্টোন চুরি করে থানোস হয়ে উঠবে!”

চেনা চিত্র? ক্লাসে, সোশালে, এমনকি ফ্যামিলিতেও – সবখানেই কিছু নেগেটিভ এনার্জির জাদুকর ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা তোমার আত্মবিশ্বাস খেয়ে ফেলতে চায় ব্রেকফাস্টের টোস্টের মতো। কিন্তু উইট ইনস্টাগ্রাম কোটস নয়, আমাদের দরকার টাইমলেস উইজডম, উপনিষদীয় লাইফ হ্যাকস, সরাসরি প্রাচীন ঋষিদের কাছ থেকে।

তুমি রেডি তো? চল শুরু করা যাক এই মাইন্ড-অ্যামো ইউনিকোর্ন জার্নি!

১.  “বিবেক-বুদ্ধি ব্যবহার করো, সেলফি নয়” – মুণ্ডক উপনিষদ

মুণ্ডক উপনিষদ বলে:
“সত্যমেব জয়তে, নানৃতম।”
অর্থাৎ সত্য শেষমেশ জয়ী হয়, মিথ্যা নয়।

 প্রয়োগ করো কিভাবে:
যারা সবসময় গসিপ করে, ব্যঙ্গ করে বা তোমার সাফল্যে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় – তাদের কথার পিছনে ‘সত্য’ আছে কিনা, সেটা যাচাই করো। যদি না থাকে, bye felicia! জাস্ট স্ক্রল পাস্ট ইর্লি।

২.  নিজেকে “আত্মা” মনে করো, অ্যাক্সেসরিজ নয় – কট উপনিষদ

“নয়ম্‌ চিন্দন্তি শস্ত্রাণি…”
অর্থাৎ আত্মাকে কোনো অস্ত্র কাটতে পারে না, আগুন পোড়াতে পারে না।

 প্রয়োগ করো কিভাবে:
যে কেউ তোমার শরীর, পোশাক, বা ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার নিয়ে খোঁচা দেয়, মনে রেখো – তুমি শুধু এক্সটারনালস নও। তুমি এক অনন্ত আলো।  তাদের কমেন্টে কাঁটা গজাল লাগলেও, ভিতরের আলো নিভতে দিও না।

৩.  “সংসর্গে হি মনুষ্যাণাম্” – চণ্ডোগ্য উপনিষদ

তুমি কার সাথে সময় কাটাও, তুমি সেই রকমই হয়ে যাও।
“যেমন সঙ্গ, তেমন রঙ।”

 প্রয়োগ করো কিভাবে:
নেগেটিভ ভাইবস ছড়ানো মানুষদের থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাও। নতুন বন্ধু খুঁজে পাওয়ার চেয়ে তোমার মানসিক শান্তি অনেক বেশি দামী।

৪.  কাম, ক্রোধ, লোভ, এই তিন ট্র্যাপ এড়াও – কৈবল্য উপনিষদ

 প্রয়োগ করো কিভাবে:
নেগেটিভ লোকেরা অনেক সময় তোমার ভিতরের লোভ বা রাগকে জাগিয়ে তোলে। এরা নিজেরাও ভিক্টিম, কিন্তু তারা তোমাকেও সেই দলে টানতে চায়। তুমিই স্থির থেকো, যেন লার্নিং মোডে আছো, রিয়াক্টিং নয়। Be the WiFi, not the virus.

৫.  “আত্মবলে বিশ্বাস রাখো – ব্ৰিহদারণ্যক উপনিষদ

“আত্মা ইব মৈ গোপায়তি” – আত্মা নিজেকে রক্ষা করে।

 প্রয়োগ করো কিভাবে:
কখনও মনে হয় তুমি একা? তোমার ভিতরেই যে বিশাল শক্তি আছে, সেটা বুঝতে পারো না? উপনিষদ বলে, তোমার highest bodyguard তুমি নিজেই। নিজের intuition-কে অবহেলা করো না – সেটা একটা অনলাইন guru-র থেকেও বেশি একুরেট।

৬.  মৌন-ফিল্টার চালু করো – ঈশ উপনিষদ

“তেনে তক্তেন ভুঞ্জীথা, মা গৃধঃ কস্যস্বিদ্ধনম্”
  সারাংশ: হিংসে নয়, কৃতজ্ঞতায় থাকো।

 প্রয়োগ করো কিভাবে:
যে মানুষগুলো সবকিছুতে নেগেটিভ খুঁজে পায়, তাদের সাথে মৌন রাখো। কথায় জবাব নয়, ভালো vibe-এ জবাব দাও।

 শেষ কথা:

 তোমার চারপাশে নেগেটিভ মানুষ থাকলে তুমি কী করো?
কমেন্টে শেয়ার করো, হয়তো কারো দিন বদলে যাবে তোমার কথায়।
আর মনে রেখো, তুমি শুধু একটা প্রোফাইল পিক নয়, তুমি এক জীবন্ত উপনিষদ!

 শেয়ার করো এই পোস্ট তোমার সেই বন্ধুটাকে, যে নেগেটিভ মানুষদের পালাতে পালাতে অলিম্পিকের ট্রেনিং পেয়ে গেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top