৪টি উপায় কিভাবে নিজেকে নিজের চোখে সম্মান জানাবে 

রাত ২টা। মোবাইলের স্ক্রিনে ইনস্টাগ্রাম, YouTube, আর WhatsApp ঘুরে ঘুরে শেষ। কেউ একটা “Bro, proud of you” বলছে না। পড়াশোনা কেমন যাচ্ছে, সেটা তো তোর নিজেরই আর ভালো লাগছে না। গেম জিতেও মজা নেই। আর আয়নার সামনে দাঁড়ালে মনে হয় ,  “আমি কী সত্যিই কিছু?”

এই হলো আজকের ছেলেদের রিয়েল লাইফ স্ট্রাগল। কারো কাছ থেকে স্বীকৃতি না পেলে মনে হয় নিজের দামই নেই। এই অদৃশ্য চাপটাই তোর মধ্যে আত্মসম্মানের অভাব তৈরি করে। আর Self-Respect হারালে? জীবন নিজের হাতে থাকেনা।

সমস্যাটা কোথায় লুকিয়ে আছে?

তুই ভাবছিস বাইরের দুনিয়া, রেজাল্ট, লুকস বা গার্লফ্রেন্ডই তোর মূল্য ঠিক করবে। কিন্তু এটা তো Upanishad-এ আগেই বলে দেওয়া , 

 “আত্মানং বিদ্ধি” ,  নিজেকে চিন, বাইরের কিছু তোর ভ্যালু ঠিক করতে পারবে না।

আমরা নিজেরাই নিজের সবচেয়ে বড় জাজ। বাইরের লাইক-কমেন্টের পেছনে দৌড়ানো মানে নিজের সম্মান বাইরের হাতে তুলে দেওয়া। আর নিজের Self-Worth যখন নিজের ভেতর থেকেই আসে, তখন বাইরের দুনিয়া হেরে যায়।

Upanishad-এর দেওয়া ৪টি Real-Life টিপস ,  যেগুলো দিয়ে নিজেকে নিজের চোখে সম্মান জানাবি:

 ১. নিজেকে চিনতে শিখ ,  “কে আমি?” প্রশ্ন কর।

 Upanishad বারবার একটাই প্রশ্ন করে ,

“কো হাম্?” (আমি কে?)

একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ৫ মিনিট সময় নে। ভাব, “আমি কি শুধুই আমার নাম, আমার গ্রেড, আমার লুক?” উত্তর পাবি ,  Nope!

তুই যখন নিজেকে নিজের আত্মা হিসেবে চিনতে শিখবি, বাইরের ছোটখাটো অপমান আর গুরুত্ব পাবে না। নিজের একটা শক্ত ভিত তৈরি হবে।

 ২. নিজের ভেতরের কণ্ঠস্বরের সাথে বন্ধুতা কর।

 Upanishad বলে,

“উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্নিবোধত।”
(ওঠ, জেগে উঠ, নিজের লক্ষ্য অর্জন কর।)

দিন শেষে বিছানায় যাবার আগে নিজেকে জিজ্ঞাসা কর:
“আজ আমি নিজেকে গর্বিত করার মতো কী কাজ করেছি?”
এ প্রশ্ন করলে নিজেই নিজের জাজ হতে শিখবি। বাইরের কারো Validation আর দরকার হবে না।

 ৩. Detachment: বাইরের প্রশংসা-সমালোচনায় cool থাক।

 Upanishad-এর এক অসাধারণ গল্প , 

এক ছাত্র গুরুর কাছে এসে বলল, “আমি সবার অপমানের জন্য ভীষণ কষ্ট পাই।”
গুরু হেসে বললেন, “তুই তো নিজের মালিকই হোলি না, অন্যের কথায় এত কষ্ট পাস কেন?”

যদি তুই আজ থেকে ঠিক করিস:
“কেউ কিছু বললেই আমি সেটা বিশ্বাস করবো না। নিজে যাচাই করে দেখবো।”

তাহলেই মন শান্ত হবে, এবং নিজের সম্মান নিজেই বানাবি।

 ৪. নিজের “Dharma” খুঁজে নে।
Upanishad বলে,

“স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ।”
(নিজের ধর্ম পালন করাই সর্বোত্তম।)

Dharma মানে কি? স্কুলের রেজাল্ট না। বাবার বকা খাওয়া কমানো না।
Dharma মানে ,  “তুই যেটা ঠিক জানিস, সেটা সাহসের সঙ্গে করা।”

বন্ধু বলুক, “তুই তো গিক!”
অভিভাবক বলুক, “তোর কেরিয়ার কোথায়?”

তোর আত্মার ভেতরের কণ্ঠ বলবে, “আমি সঠিক পথে আছি।”
এই ফিলিং-টাই আসল সম্মান।

 আজকের ‘স্পিরিচুয়াল এক্সারসাইজ’ ,  নিজের হিরো হবার প্রথম ধাপ:

 রাতের বেলা, ২ মিনিটের এই সাইলেন্ট এক্সারসাইজ কর:

১️ চোখ বন্ধ কর।
২️ মনে মনে বল ,  “আমি নিজের মধ্যে সম্পূর্ণ। বাইরের কিছু আমাকে ছোট করতে পারবে না।”
৩️ এই ভাবনা ধরে রেখে নিঃশ্বাস নে ,  ধীরে ধীরে ভিতর থেকে শক্তি ফিল কর।

পরদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখের দিকে তাকাস।
দেখবি, আগের সেই হতাশ ছেলে নেই।
একজন নিজের চোখে সম্মানিত, শান্ত এবং স্ট্রং ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top