৪টি অভ্যাস যা উপনিষদ অনুযায়ী নিজেকে আলাদা করে তোলে

স্কুলে ব্যর্থ, প্রেমে ব্রেকআপ, আর মন তো সবসময় গুলিয়ে থাকে…

তুই কি কখনও এমন ফিল করিস যে তোর লাইফে কেউ বুঝতে পারছে না তুই কী চাস? স্কুল/কলেজে রেজাল্ট নিয়ে চাপ, বাড়িতে মা-বাবার এক্সপেকটেশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক স্মাইল আর অন্যদের পারফেক্ট লাইফ দেখে নিজেরটা তুচ্ছ লাগছে?

সবাই বলে ,  “Try harder, focus more, be positive…”
কিন্তু মাথার ভেতর চলতে থাকে একটাই প্রশ্ন:
“আমি কে?” “আমি এত কষ্ট পাচ্ছি কেন?” “আমি কি আদৌ কিছু পারব?”

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমরা কোথাও খুঁজি না ,  অথচ হাজার বছর আগে উপনিষদ ঠিক এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েই গেছে।

আজ জানবি ৪টা সিম্পল অভ্যাস যা উপনিষদের চোখে তোকে বানাতে পারে অন্য সবার থেকে আলাদা ,  mentally, emotionally, even spiritually। Ready?

১. নিজেকে রেগুলার জিজ্ঞেস কর ,  “আমি কে?”

তোর নাম, Instagram handle, বা তোর GPA ,  এগুলো তুই নয়।

উপনিষদ বলে:

“আত্মা সাক্ষাৎ, অব্যয়, চিরন্তন”
ছান্দোগ্য উপনিষদ

মানে?
তুই তোর চিন্তা নয়, তোর দুঃখ নয়, তোর সিচুয়েশন নয়। তুই একজন eternal player, যে এই দুনিয়ার গেম খেলতে এসেছে। যখন তুই এই ভাবনাটা জাগিয়ে তুলবি, তখন ছোট খাটো setback আর mind-blowing লাগবে না।

 ACTION: প্রতিদিন ঘুমানোর আগে নিজেকে জিজ্ঞেস কর, “আমি কার জন্য এত দৌড়াচ্ছি?” “আমি আসলে কে?”
(গ্যারান্টি দিচ্ছি ,  দিন ৭ পরে নিজের মধ্যে ভিন্ন vibe পাবি।)

২. ডেটাচমেন্ট শেখ ,  কিন্তু ফিকির না হবার মতো না

বন্ধু একটা কাজ না করলে মন খারাপ। প্রেমিকা মেসেজ না দিলে দুনিয়া শেষ।
এই emotional roller-coaster থেকে তোরই তো শান্তি নষ্ট হচ্ছে।

উপনিষদ বলে:

“যে নিজেকে পৃথকভাবে চিনতে পারে, সে-ই প্রকৃত জ্ঞানী।”
কঠ উপনিষদ

তুই যখন বুঝবি ,  “আমি এই ফিলিংসগুলোর মালিক নই, আমি শুধু এগুলো দেখতে পারি” ,  তখন তুই দুনিয়ার যে কোনো ঝড় সামলাতে পারবি। যেন তোর ভেতরে একটা ঠান্ডা পাহাড় আছে।

 ACTION: আজ থেকেই প্রতিদিন ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে নিজের ভাবনা/ইমোশনগুলো দেখে , কোনো judgement না দিয়ে। Just observe. That’s detachment, bro.

৩. সততার সাথে নিজের সত্যকে বাঁচা

বন্ধুরা যা করছে, সবাই যেদিকে যাচ্ছে ,  আমরা অন্ধভাবে ফলো করি।
কিন্তু উপনিষদ একদম কুল ভাবে বলে:

“সত্যং ব্ৰূযাৎ, প্রিয়ং ব্ৰূয়াৎ, ন ব্ৰূয়াৎ সত্যং অপ্রিয়ং।”
তৈত্তিরীয় উপনিষদ
(সত্য বল, প্রিয়ভাবে বল, কিন্তু এমন সত্য বলিস না যা কারও মনে আঘাত দেয়।)

মানে নিজের কথা বল, নিজের স্টাইল বজায় রাখ, কিন্তু সম্মান রেখে।

 ACTION: আজ কাউকে একটা সত্য কথা বল ,  কিন্তু সেটা এমনভাবে বল যাতে সে বুঝে, রাগ না করে। এই প্র্যাকটিস তোকেই লিডার বানাবে।

৪. নিজের ‘ধর্ম’ খুঁজে বার কর ,  না, আমি পূজোর কথা বলছি না

“ধর্ম” মানে তোর জন্মগত দায়িত্ব। যেমন আগুনের ধর্ম জ্বালানো। তোর ধর্ম কী?

উপনিষদ বলছে:

“স্বধর্মে নিযুক্ত থাকা ,  এটাই মোক্ষের পথ।”

তুই লেখক হতে চাস? তোর স্বপ্ন গেম ডেভেলপমেন্ট? কিম্বা একজন কোচ হতে চাস?
তবে কেন সমাজের কথায় ভয় পাস?

 ACTION: একটা ডায়েরিতে লিখ ,  “আমি জীবনে কী করতে চাই?” আর প্রতিদিন একটা ছোট স্টেপ নে সেই দিকে।

 শেষ কথা: তুই আসলে কে, সেটা তুই ছাড়া কেউ জানে না

তুই ordinary না। তোর ভেতরে একটা warrior আছে। শুধু ওই warrior টাকে প্রতিদিন একটু একটু করে জাগাতে হবে।

 আজকের স্পিরিচুয়াল এক্সারসাইজ:

মনেই বল:

“অহম্ ব্রহ্মাস্মি”
(আমি ব্রহ্ম ,  অর্থাৎ আমি অসীম, আমি পূর্ণ।)

শ্বাস নিতে নিতে বল, মনেই বল। শ্বাস ছাড়তে বল ,  “আমি পরিপূর্ণ।”
মাত্র ৩ বার বল। তোর মনের জঞ্জাল একটু হালকা হতে শুরু করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top